২০২৮ সাল পর্যন্ত চীনে শুল্ক ও কোটামুক্ত প্রবেশাধিকার পাবে বাংলাদেশ

 

চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াংয়ের ঘোষণা

📅 তারিখ: ২৮ মার্চ ২০২৫
লেখক: মাহবুব ওসমানী


বাংলাদেশি পণ্যের জন্য সুখবর! ২০২৮ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ চীনে শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত (DFQF) বাণিজ্য সুবিধা উপভোগ করবে। চীনের উপপ্রধানমন্ত্রী ডিং শুয়েশিয়াং জানিয়েছেন, বাংলাদেশের স্বল্পোন্নত দেশ (LDC) থেকে উত্তরণের দুই বছর পর পর্যন্ত এই সুবিধা বহাল থাকবে।

বাংলাদেশের জন্য বড় সুবিধা

বর্তমানে, বাংলাদেশ চীনে ৯৮% পণ্য শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত রপ্তানি করতে পারে। এই সুবিধার ফলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাক, চামড়া, প্লাস্টিক, কৃষিপণ্যসহ বিভিন্ন খাতের ব্যবসায়ীরা চীনের বিশাল বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারবেন।

বিশ্বব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৩ সালে চীনে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ১.৩ বিলিয়ন মার্কিন ডলার। বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, এই শুল্ক সুবিধা অব্যাহত থাকলে ২০২৮ সালের মধ্যে বাংলাদেশ থেকে চীনে রপ্তানির পরিমাণ আরও দ্বিগুণ হতে পারে।

২০২৬ সালে বাংলাদেশ মধ্যম আয়ের দেশে উত্তীর্ণ হবে

বাংলাদেশ ২০২৬ সালে স্বল্পোন্নত দেশের (LDC) তালিকা থেকে বের হয়ে মধ্যম আয়ের দেশের মর্যাদা পাবে। সাধারণত LDC থেকে উত্তরণের পর অনেক দেশ শুল্কমুক্ত সুবিধা হারায়। তবে চীন সিদ্ধান্ত নিয়েছে, বাংলাদেশ এই সুবিধা ২০২৮ সাল পর্যন্ত পাবে।

ডিং শুয়েশিয়াং বলেছেন:
“বাংলাদেশের অর্থনৈতিক অগ্রগতির প্রতি চীন শ্রদ্ধাশীল। আমরা চাই বাংলাদেশ-চীন সম্পর্ক আরও জোরদার হোক। তাই বাংলাদেশকে আমরা ২০২৮ সাল পর্যন্ত শুল্কমুক্ত ও কোটামুক্ত বাণিজ্য সুবিধা প্রদান করছি।”

বাংলাদেশ-চীন বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর হবে

চীন বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান বাণিজ্যিক অংশীদার। বর্তমানে চীন থেকে বাংলাদেশ প্রায় ২০ বিলিয়ন মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি করে, যা মূলত মেশিনারি, ইলেকট্রনিক্স, কাঁচামাল ও শিল্প-সামগ্রী। অন্যদিকে, বাংলাদেশ চীনে প্রধানত তৈরি পোশাক, মাছ, চামড়াজাত পণ্য ও প্লাস্টিক রপ্তানি করে।

বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চীনের দেওয়া এই শুল্কমুক্ত সুবিধা বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের জন্য বিশাল সুযোগ তৈরি করবে এবং দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য সম্পর্ক আরও গভীর করবে।

চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধা কীভাবে কাজে লাগানো যাবে?

বাজার সম্প্রসারণ: ব্যবসায়ীরা চীনে নতুন বাজার খুঁজে পেতে পারেন।
রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ: পোশাক ও কৃষিজাত পণ্যের রপ্তানি বাড়ানোর সম্ভাবনা তৈরি হবে।
প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা: অন্যান্য দেশের তুলনায় বাংলাদেশি পণ্য চীনের বাজারে বেশি প্রতিযোগিতামূলক হবে।
বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা: চীনের বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশে নতুন কারখানা স্থাপনে আগ্রহী হতে পারেন।

উপসংহার

চীনের শুল্কমুক্ত সুবিধা বাংলাদেশের রপ্তানি খাতের জন্য বড় সুযোগ। ২০২৮ সাল পর্যন্ত এই সুবিধা পাওয়ায় বাংলাদেশি ব্যবসায়ীরা চীনের বিশাল বাজারে নিজেদের অবস্থান আরও শক্তিশালী করতে পারবেন। তবে এ সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে পণ্যের গুণগত মান বজায় রাখা এবং নতুন বাজার অনুসন্ধান করাই হবে প্রধান লক্ষ্য।


📢 আপনার মতামত জানাতে কমেন্ট করুন!
📰 আরও আপডেট পেতে ভিজিট করুন: https://news.mahbubosmane.com

🔄 শেয়ার করুন এবং গুরুত্বপূর্ণ খবর সবার কাছে পৌঁছে দিন! 🚀

সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন! 

আমরা দিচ্ছি আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে MahbubOsmane.com-এ!

১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা
৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট
প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI

📩 আজই যোগাযোগ করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com

Exit mobile version