📝 তথ্য সংগ্রহ ও প্রতিবেদন: Ibrahim Khalil Shawon
📌 প্রকাশিত: news.mahbubosmane.com
📍 সাভার, ঢাকা –
একজন আদর্শবান বাবার নির্মম পরিণতির চূড়ান্ত দৃশ্য লেখা হলো তার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ—নিজ কন্যার হাতেই। সাভারে ঘটে যাওয়া এই ভয়াবহ ঘটনাটি শুধু একটি পারিবারিক হত্যাকাণ্ডই নয়, বরং সমাজের অবক্ষয়ের করুণ চিত্রও।
নিহত ব্যক্তির নাম আব্দুস সাত্তার (৫৬)। একজন প্রাক্তন সরকারি কর্মকর্তা, সদা হাস্যোজ্জ্বল, শান্ত-স্বভাবের একজন মানুষ ছিলেন তিনি। প্রতিবেশীদের সঙ্গে সদাচরণ আর মেয়েকে নিয়ে সবসময় গর্ব ছিল তার। কিন্তু ভাগ্যের নির্মম পরিহাস, সেই মেয়ের হাতেই তাকে প্রাণ দিতে হলো।
শুরু থেকেই উশৃঙ্খল চলাফেরা
স্থানীয় সূত্র এবং পারিবারিক ঘনিষ্ঠদের বরাতে জানা যায়, মেয়েটির আচরণ দীর্ঘদিন ধরেই উশৃঙ্খল ছিল। আধুনিকতার নামে সীমা অতিক্রম করা, বাবা-মায়ের উপদেশ মানতে না চাওয়া, মাদকসেবনসহ নানা অপ্রীতিকর ঘটনায় জড়িয়ে পড়েছিল সে।
সাবলেটে বান্ধবীদের আনা ও বাবার ত্যাগ
কিছুদিন আগে মেয়েটি তার দুই বান্ধবীকে সাভারের নিজ বাসায় সাবলেট হিসেবে নিয়ে আসে। আব্দুস সাত্তার শুরুতে কিছু না বললেও পরে বুঝতে পারেন পরিস্থিতি ভালো যাচ্ছে না। মেয়ের সম্মানের কথা ভেবে নিজেই ডাইনিং রুমে রাত কাটানো শুরু করেন। তার বিশ্বাস ছিল, মেয়ে বুঝে ঠিক পথে ফিরে আসবে।
মাদকের পথে পা, সম্পর্কের অবনতি
কিন্তু ঘটনাপ্রবাহ আরও ভয়াবহ রূপ নেয়। একপর্যায়ে আব্দুস সাত্তার লক্ষ করেন, মেয়ে ও তার বান্ধবীরা মাদকে জড়িয়ে পড়েছে। উগ্র আচরণ, রাতজাগা পার্টি ও শব্দদূষণ বাড়তে থাকে। তিনি মেয়েকে শাসন করতে গেলে একসময় মেয়েটি তার ওপর হাত তোলার মতো আচরণ করে।
থানায় জিডি ও লেসবিয়ান সম্পর্কের সন্ধান
একপর্যায়ে নিরুপায় হয়ে আব্দুস সাত্তার থানায় একটি জিডিও করেন মেয়ের বিরুদ্ধে। তবুও পরিস্থিতির উন্নতি হয়নি। এরপর একরাতে মেয়েকে ডাকতে গিয়ে মেয়েসহ বান্ধবীদের আপত্তিকর অবস্থায় দেখতে পান তিনি। জানা যায়, মেয়েটি ও তার বান্ধবীরা লেসবিয়ান সম্পর্কে জড়িত ছিল। বিষয়টি আব্দুস সাত্তার মেনে নিতে পারেননি এবং তখনই মেয়েকে সাফ জানিয়ে দেন বান্ধবীদের বাসা থেকে বের করে দিতে হবে।
পরিকল্পিত হত্যার ছক
মেয়ে বুঝতে পারে, তার বাবাই এখন তার ‘উন্নতি’র পথে বাধা। তাই সে একটি পরিকল্পনা করে বাবাকে সরিয়ে দেওয়ার। অভিযোগ রয়েছে, গতকাল ভোর রাত ৪টার দিকে মেয়েটি নিজ হাতে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে তার বাবাকে।
হত্যার পর সে একটি নাটক সাজায়—মিথ্যা ধর্ষণের অভিযোগ তোলে নিজের বাবার বিরুদ্ধে, যাতে জনমত তার পক্ষে যায় এবং সে সহজেই জামিন পায়। এমনকি একটি ভিডিওতে সে প্রকাশ্যে বলে, “আমাকে জনগণ সাপোর্ট করুক, আমি জামিনে বের হয়ে আসতে চাই।”
আগেও মিথ্যা মামলা
চাঞ্চল্যকর তথ্য হলো, ২০২৩ সালেও এই মেয়েটি তার বাবার বিরুদ্ধে ধর্ষণের মিথ্যা মামলা করেছিল। আদালত ও ফরেনসিক বিভাগ সেই মামলায় কোনো সত্যতা না পেয়ে আব্দুস সাত্তারকে জামিনে মুক্তি দেয়।
সমাজের বিবেকের প্রশ্ন
এই ঘটনা শুধু একটি পারিবারিক ট্র্যাজেডি নয়, বরং একটি বড় প্রশ্ন সমাজের কাছে—নৈতিকতার অবক্ষয়, মাদক, বিকৃত সম্পর্ক ও মূল্যবোধহীনতার ভয়ানক পরিণতি কীভাবে একটি পরিবার ধ্বংস করে দিতে পারে।
নিহত আব্দুস সাত্তারের আত্মীয়রা এখন এই ঘটনার বিচার দাবি করছেন এবং তার মেয়ের সর্বোচ্চ শাস্তি চান। পুলিশ ইতিমধ্যে মেয়েটিকে আটক করেছে এবং তদন্ত চলমান রয়েছে।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
