বিশেষ প্রতিবেদন | পরিপুর্ন নিউজ ডেস্ক
📅 প্রকাশিত: ১১ মে ২০২৫
বাংলাদেশসহ উপমহাদেশের বহু পরিবারেই একটি কমন চিত্র হলো—সন্তান জন্মের পর স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্কের উষ্ণতা যেন হারিয়ে যেতে থাকে। সম্পর্কের জায়গা নিয়ে নেয় কেবল দায়িত্ব আর কর্তব্য। এই অবস্থাকে অনেকেই স্বাভাবিক বলে মেনে নিলেও বাস্তবে এটি একটি বিপজ্জনক সংকেত, যা ধীরে ধীরে সম্পর্কের মাঝখানে দেয়াল গড়ে তোলে।
বিশেষ করে, ২ বা ৩টি সন্তান হলে তো কথাই নেই। জীবনের রোমান্স হারিয়ে গিয়ে সম্পর্ক যেন ভাইবোনে রূপ নেয়। সন্তানদের দেখাশোনা, সংসারের দায়িত্ব, কাজের চাপে দম্পতির মধ্যে রোমান্টিক সময় কাটানোর সুযোগ খুব কমই থাকে। এর প্রভাবে দাম্পত্যে শুরু হয় তিক্ততা, মানসিক দূরত্ব এবং মাঝেমধ্যে অবিশ্বাসও।
সন্তান আলাদা না হলে দাম্পত্য জীবনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে
আমাদের দেশে অনেক পরিবারে দেখা যায়, ৫-৭ বছর বয়সী সন্তানও এখনও মা-বাবার মাঝখানে ঘুমায়। অথচ বিশেষজ্ঞদের মতে, সন্তান যখন আড়াই বা তিন বছরে পা দেয়, তখনই তাকে আলাদা বিছানায় ঘুমাতে শেখানো উচিত। এর অন্যতম প্রধান কারণ হলো—এই বয়সে শিশু বুঝতে শেখে, আত্মচেতনা তৈরি হয়।
যদি সে রাতে ঘুম ভেঙে মা-বাবাকে অস্বাভাবিক বা অপ্রস্তুত অবস্থায় দেখে ফেলে, তাহলে তার কচি মনে নানা প্রশ্নের জন্ম নিতে পারে। অন্যদিকে, একই বিছানায় শিশু থাকার ফলে স্বামী-স্ত্রীর প্রাইভেসি বা রোমান্টিক সময় কাটানোর সুযোগ নষ্ট হয়, যা দাম্পত্য জীবনে ফাটল সৃষ্টি করতে পারে।
কীভাবে সন্তানকে আলাদা করবেন?
- বাচ্চার জন্য আলাদা বিছানা ও রুম তৈরি করুন
- রুমটি তার পছন্দমতো সাজিয়ে দিন
- গল্প পড়ে বা বই শুনিয়ে ঘুম পাড়িয়ে দিন
- ঘুমিয়ে গেলে আপনি চলে আসুন নিজের রুমে
- রাতে যদি সে উঠে পড়ে, তার জন্য বেবি মনিটর ব্যবহার করুন
- সকালে ওঠার আগে তার পাশে গিয়ে শুয়ে পড়ুন
এই পদ্ধতিতে ধীরে ধীরে শিশু অভ্যস্ত হয়ে উঠবে, আর আপনার দাম্পত্য জীবনেও ফিরে আসবে কাঙ্ক্ষিত স্বাভাবিকতা।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
দ্বিতীয় সন্তান এলে প্রথমজনের দিকে নজর দিন
আরেকটি বাস্তব সমস্যা হলো, দ্বিতীয় সন্তান জন্ম নিলে অনেক মা-বাবা প্রথম সন্তানের প্রতি অবহেলা করতে শুরু করেন। আদরের বেশিরভাগটাই চলে যায় ছোটজনের দিকে, অথচ বড়জন মানসিকভাবে অনেক কিছুই বুঝতে শেখে। তাকে বকাঝকা করা, দায়িত্ব দিয়ে রাখা, আর ছোটজনকে কোলে নিয়ে আদর করা—এসব ছোট ছোট বিষয়গুলো তার মনে অভিমান, অবহেলার অনুভূতি এবং কখনো কখনো হিংসা তৈরি করে।
এই পরিস্থিতিতে করণীয়:
- বড় সন্তানের সাথে বেশি সময় কাটান
- তাকে বোঝান যে তার প্রতি ভালোবাসা একটুও কমেনি
- দু’জন সন্তানকেই সমান গুরুত্ব দিন, তুলনা নয়
- খাবার, ঘুম, খেলার নিয়ম একই রাখুন
পরিবারে ভালোবাসার পরিবেশ ফিরিয়ে আনুন
- প্রতিদিন এক থেকে দেড় ঘণ্টা পরিবার মিলে একসাথে হাসুন, খেলুন, গল্প করুন
- সন্তানদের সামনে স্বামী-স্ত্রী একে অপরের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করুন
- রাগ হলে পরিবারের প্রিয় মানুষদের থেকে কিছু সময়ের জন্য দূরে যান
- বারান্দা বা ছাদে গিয়ে নিজেকে সময় দিন, গভীর নিঃশ্বাস নিন, মেডিটেশন করুন
- নিজেকে জিজ্ঞাসা করুন—আপনার রাগের কারণ কতটা যৌক্তিক?
পরিবার মানেই শুধু দায়িত্ব নয়, তা এক অভ্যন্তরীণ বন্ধন, যেখানে ভালোবাসা, পারস্পরিক সম্মান আর প্রাইভেসিও গুরুত্বপূর্ণ। সন্তানের যত্ন নিতে গিয়ে যেন সম্পর্কের শিকড়গুলো না শুকিয়ে যায়—সেই দায়িত্ব আমাদেরই নিতে হবে।
আসুন, দায়িত্বের পাশাপাশি ভালোবাসার সম্পর্কগুলোকেও বাঁচিয়ে রাখি। কারণ, সুখী পরিবার মানেই একটি শক্তিশালী সমাজের ভিত্তি।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
