নিউজ ডেস্ক | news.mahbubosmane.com | ১৪ মে ২০২৫
বিশ্ব রাজনীতির ইতিহাসে এমন রাষ্ট্রপ্রধান বিরল যিনি ক্ষমতার শীর্ষে থেকেও বেছে নিয়েছিলেন এক সাধারণ জীবনের পথ। বিলাসিতা, ক্ষমতা বা বিত্তের মোহ তাঁকে ছুঁতে পারেনি কখনও। তাঁর নাম হোসে মুজিকা, উরুগুয়ের সাবেক প্রেসিডেন্ট, যিনি পৃথিবীর ‘সবচেয়ে দরিদ্র রাষ্ট্রপ্রধান’ হিসেবেও পরিচিত। ৮৯ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন এই বিপ্লবী, মানবিক, জনদরদি নেতা।
ক্ষমতায় থেকেও সাধারণ জীবন
রাষ্ট্রপ্রধান হয়েও প্রটোকলের বাহুল্য ছিল না তাঁর জীবনে। চলতেন একেবারে সাধারণভাবে, নিজের পুরোনো গাড়িতে। প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের বিলাসিতা তাঁকে আকর্ষণ করেনি, বেছে নিয়েছিলেন একটি জরাজীর্ণ কুঁড়েঘর, যেখানে সঙ্গী ছিলেন তাঁর স্ত্রী ও তিন পেয়ে কুকুর ‘ম্যানুয়েলা’।
১২,৫০০ ডলারের প্রেসিডেন্ট বেতন থেকে মাত্র ১০% নিজের খরচ হিসেবে রাখতেন, বাকিটা দান করতেন সমাজের জন্য। তাঁর স্পষ্ট বক্তব্য ছিলো— “এর চেয়েও কম টাকায় অনেকের জীবন চলে, আমারও চলে যাবে।”
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
গেরিলা থেকে রাষ্ট্রনায়ক
কিশোর বয়সেই যুক্ত হয়েছিলেন টুপামারো গেরিলা আন্দোলনে, যারা ধনীদের সম্পদ লুণ্ঠন করে গরিবদের মাঝে বিতরণ করতো। সেই বিপ্লবী পথে হাঁটতে গিয়ে ৬ বার গু*লিবিদ্ধ হন, ১৫ বছর কাটিয়েছেন কারাগারে। ১৯৮৫ সালে গণতন্ত্র ফিরে আসার পর মুক্তি পান এবং বামপন্থী রাজনীতির পথে যুক্ত হন।
সেই পথ পেরিয়ে ১৯৯৪ সালে হন সিনেটর, ২০০৫ সালে মন্ত্রী এবং ২০১০ সালে নির্বাচিত হন উরুগুয়ের রাষ্ট্রপতি হিসেবে। যদিও তখন দলের অভ্যন্তরেই ছিল তীব্র বিরোধিতা, তবুও জনসাধারণের ভালোবাসা তাঁকে রাষ্ট্রের সর্বোচ্চ আসনে বসায়।
অর্থনীতির উন্নয়ন আর সামাজিক সংস্কার
ক্ষমতায় থাকাকালীন হোসে মুজিকা দুর্বল উরুগুয়েকে স্থিতিশীল ও স্বাস্থ্যবান অর্থনীতিতে রূপান্তরিত করেন। BBC বলেছিলো— “লাতিন আমেরিকার অন্যান্য দেশের তুলনায় উরুগুয়ের অর্থনীতি অনেক বেশি সুসংগঠিত ও শক্তিশালী।”
তাঁর কিছু সিদ্ধান্ত ছিলো বিতর্কিতও— যেমন দেশে গাঁজার বৈধতা, সমলিঙ্গ বিবাহ এবং গর্ভপাত বৈধ করা। তবে মুজিকার বক্তব্য ছিল স্পষ্ট: “আমি গাঁজাকে ঘৃণা করি, তবে আমি ১.৫ লাখ ব্যবহারকারীকে পাচারকারীদের হাতে ছাড়তে পারি না।”*
নেতৃত্বের এক নতুন সংজ্ঞা
মুজিকার রাষ্ট্রনায়ক হওয়ার দর্শন ছিল একেবারে মানবিক, ব্যক্তিকেন্দ্রিক নয়। তিনি বলতেন—
“আমি গরিব নই, গরিব তারা যাদের সবসময় আরও কিছু চাই।”
ভোগবিলাস ও যুদ্ধের বিরুদ্ধে তিনি ছিলেন সদা উচ্চকণ্ঠ। বিশ্ব নেতাদের আহ্বান জানিয়েছিলেন অস্ত্র তৈরির পরিবর্তে মানব কল্যাণে বিনিয়োগ বাড়ানোর।
অবসান এক অধ্যায়ের, কিন্তু রয়ে যাবে আদর্শ
চাইলেই বারবার প্রেসিডেন্ট হতে পারতেন, কিন্তু নিজ ইচ্ছেতেই সরে দাঁড়িয়েছিলেন রাষ্ট্রপতির পদ থেকে। ফিরে গিয়েছিলেন কৃষিকাজে, সেখানেই ছিলো তাঁর প্রকৃত আত্মার আরাম। উরুগুয়ের সাধারণ মানুষ তাঁকে ডাকতেন ‘পেপে’ নামে— এক ভালোবাসার উপাধি।
হোসে মুজিকা কেবল একজন রাষ্ট্রপতি ছিলেন না, ছিলেন এক আদর্শের নাম। তার জীবন প্রমাণ করে— একজন প্রকৃত নেতার পরিচয় বিলাসে নয়, ত্যাগে। বিদায় ‘পেপে’, পৃথিবী আপনাকে চিরকাল মনে রাখবে এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
