নারী কমিশনের নীরবতা: গার্মেন্টস থেকে আলুক্ষেত—আসল নারী উন্নয়ন কি উপেক্ষিত?

✍️ লিখেছেন: প্রতিবেদক, MahbubOsmane.com
প্রকাশিতঃ ৪ মে ২০২৫


সংক্ষিপ্তসার:
বাংলাদেশে নারীর উন্নয়ন নিয়ে সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোর নানা উদ্যোগ থাকলেও বাস্তবতার নিরিখে দেখা যায়—মূল সমস্যা যেখানে, সেখানে আলো পড়ে না। নারী কমিশনের কার্যক্রম ও বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন অনেকে, কারণ মাঠ পর্যায়ের নারীর জীবন সংগ্রামে তারা যেন অনুপস্থিত।


মূল প্রতিবেদন:
বাংলাদেশের অর্থনীতির অন্যতম ভিত্তি— গার্মেন্টস শিল্প। এখানে প্রায় ৮০% শ্রমিক নারী, অথচ মাত্র ১০% নারী এক্সিকিউটিভ পদে রয়েছেন। শ্রমিক থেকে ম্যানেজার—এই রূপান্তরটা নারীদের ক্ষেত্রে যেন থেমে যায়। নারী কমিশনের কি এ নিয়ে কিছু বলার ছিল?

কাজের পরিবেশ? গার্মেন্টসগুলোতে যৌন হয়রানি এখনো এক নীরব মহামারি। নারী শ্রমিকরা প্রতিনিয়ত লাঞ্ছিত হচ্ছেন। নিরাপত্তা নেই, সম্মান নেই, বেতন ঠিকঠাক নেই। অথচ কোথাও নারী কমিশনের দৃশ্যমান তৎপরতা নেই।

আরও দূরে গেলে— উত্তরবঙ্গের আলুক্ষেত, চা বাগান, লবণের মাঠ—সব জায়গায়ই নারীরা অমানবিক পরিশ্রম করছেন, অনেক ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে বেশি কাজ করেও কম মজুরি পাচ্ছেন। চা বাগানের একজন নারী শ্রমিকের দৈনিক আয় হয়তো ১০০-১২০ টাকা, যেটা দিয়ে তাঁদের পরিবারের তিন বেলা খাবার জোটে না। নারী কমিশনের কেউ কখনো সেখানে গেছেন? দেখা করেছেন মাঠে খাটতে থাকা নারীদের সঙ্গে?

নারী অধিকার রক্ষা প্রসঙ্গে যদি আইনগত দিক দেখি, মিথ্যা নারী নির্যাতনের মামলা এক ভয়াবহ সামাজিক সংকট। এসব মামলায় আসল ভুক্তভোগীরা পড়ে যান কোণঠাসা অবস্থায়, বছর বছর ধরে মামলা চালিয়ে শেষ পর্যন্ত বিচার পান না। অথচ এ বিষয়টি নিয়েও নারী কমিশনের অবস্থান মিশ্র বা নিঃশব্দ।

বাংলাদেশে নারীর মর্যাদা নিয়ে ইসলামের দৃষ্টিভঙ্গি অত্যন্ত স্পষ্ট—নারীকে বলা হয়েছে “রাব্বাতুল বাইত”। ইসলামে নারীদের আলাদা মর্যাদা, সুরক্ষা ও অধিকার নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই প্রেক্ষাপটে প্রশ্ন উঠে— নারীদের জন্য আলাদা মেডিকেল কলেজ, ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ—এইগুলো কি নারীর ক্ষমতায়ন, না একটি ছদ্ম-উন্নয়ন মডেল?

আরও উদ্বেগজনক একটি দিক হলো, পশ্চিমা আদলে ম্যারিটাল রেইপ বা যৌনকর্মীদের শ্রমিক মর্যাদা দেয়ার মত বিতর্কিত ধারণা আমাদের দেশে ঠেলে দেয়ার চেষ্টা চলছে। সমাজে যখন নৈতিকতা হারাতে বসেছে, তখন একজন OnlyFans কনটেন্ট ক্রিয়েটর একটি পিএইচডি গবেষকের চেয়ে বেশি আয় করছে—এই তুলনা আমাদের কোথায় নিয়ে যাচ্ছে? প্রশ্ন তুলছে দেশের সাধারণ মানুষ।

সবচেয়ে বড় ভয়—নারী উন্নয়ন একটি নির্দিষ্ট এজেন্ডা বাস্তবায়নের হাতিয়ার হয়ে উঠছে, আসল উন্নয়ন নয়। আলুক্ষেতে মুখে কাপড় বেঁধে কাজ করা একজন মহিলা দিনমজুর হয়তো সেই ‘উন্নয়ন প্রস্তাব’ শুনলে জুতো হাতে তেড়ে আসতেন।


উপসংহার:
নারী উন্নয়ন হতে হবে মাঠ পর্যায় থেকে, চায়ের বাগান, গার্মেন্টস ফ্লোর, আলুক্ষেত—এইসব জায়গা থেকেই শুরু। মুখস্থ ফেমিনিজম নয়, চাই বাস্তববাদী, নৈতিকতাভিত্তিক নারী উন্নয়ন। নারী কমিশন যদি সত্যিকারের পরিবর্তন চায়, তাহলে তাদের উচিত আসল মাঠে নামা, এবং নারীর প্রকৃত সমস্যা নিয়ে কার্যকর ভূমিকা রাখা।


আপনার মতামত দিন:
এই রিপোর্ট নিয়ে আপনার মন্তব্য জানাতে পারেন নিচে কমেন্ট সেকশনে।

✅ নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
📲 আরও এমন খবর পেতে চোখ রাখুন:
 https://news.mahbubosmane.com

সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন! 

মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্‌!

✅ ১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং
✅ ৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
✅ প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

📩 আজই যোগাযোগ (  wa.me/+966549485900 or  wa.me/+8801716988953 ) করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com

Exit mobile version