ইউক্রেনের খনিজ সম্পদ মার্কিনীদের হাতে: যুদ্ধের ছক, ষড়যন্ত্র ও পরিণতি

লেখক: Monjure Khoda Torik

প্রকাশিতঃ ৩রা মে ২০২৫


ইউক্রেনের ওপর যুদ্ধ যেমন দেশটিকে ধ্বংস করেছে, তেমনি তার মাটির নিচে লুকানো মূল্যবান সম্পদ এখন চলে গেছে মার্কিনীদের হাতে।

রাশিয়ার সঙ্গে চলমান যুদ্ধ ইউক্রেনকে এক চরম বিপর্যয়ের দিকে ঠেলে দিয়েছে। দেশের ভূমি, জনশক্তি ও অর্থনীতির যে ক্ষতি হয়েছে, তা তো আছেই, পাশাপাশি ইউক্রেনের গোপন মূল্যবান খনিজ সম্পদের উপর মার্কিন কর্পোরেটদের মালিকানাও প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ষড়যন্ত্রের শুরু: ২০১৪ সালের অরেঞ্জ রেভ্যুলেশন

এই ঘটনার সূচনা মূলত ২০১৪ সালে হয়, যখন ইউক্রেনের রুশপন্থী নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ভিক্টর ইয়ানুকোভিচকে অরেঞ্জ রেভ্যুলেশনের মাধ্যমে উৎখাত করা হয়। সেই আন্দোলনের মূলশক্তি ছিল ছাত্র-জনতা, তবে আন্দোলনের পেছনে সুপরিকল্পিতভাবে যুক্ত ছিল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন সংস্থা।

USAID, NED (National Endowment for Democracy), এবং Open Society Foundations-এর মতো মার্কিন প্রতিষ্ঠানের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ সহযোগিতায় আন্দোলনের তরুণদের প্রশিক্ষণ, অর্থায়ন এবং কিছু ক্ষেত্রে অস্ত্র সরবরাহ করা হয়।

স্নাইপার হামলার প্রকৃত রহস্য

অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ইভান কাচানোভস্কির গবেষণা বলছে, ২০১৪ সালের আন্দোলনে নিহতদের অনেকেই ছিলেন আন্দোলনের ভেতরে ঢুকে পড়া স্নাইপারদের হাতে নিহত। তার গবেষণায় বুলেট ও আঘাতের স্থান বিশ্লেষণ করে তা প্রমাণিত হয়েছে।

এই নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়নের তৎকালীন পররাষ্ট্র প্রধান ক্যাথরিন অ্যাশটন ও এস্টোনিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী উরমাস পেইতের মধ্যে ফাঁস হওয়া একটি ফোনালাপে এই ষড়যন্ত্রের সত্যতা উঠে আসে, যেখানে বলা হয়, স্নাইপাররা ছিলেন বিরোধী পক্ষের লোক। ফোনালাপে অ্যাশটনের প্রতিক্রিয়া ছিল: “আমি জানতাম না… ওহ আমার ঈশ্বর।”

নির্বাচনের ছক এবং জেলেনস্কির উত্থান

২০১৪ সালের অভ্যুত্থানের পর নির্বাচন বিলম্বিত করে ২০১৯ সালে পরিকল্পিতভাবে একজন অভিনেতা, ভ্লাদিমির জেলেনস্কিকে মার্কিন সমর্থনে প্রেসিডেন্ট বানানো হয়। তার নেতৃত্বেই পশ্চিমা উস্কানিতে রাশিয়াকে যুদ্ধে জড়ানো হয়।

যুদ্ধের ছক এবং খনিজ সম্পদের দখল

রাশিয়ার সাথে যুদ্ধ শুরু হলে একদিকে যেমন ইউক্রেন ভূমি হারাতে থাকে, অন্যদিকে মার্কিন কর্পোরেট ও সামরিক-শিল্প প্রতিষ্ঠানগুলো ইউক্রেনের মাটির নিচে থাকা বিরল খনিজ সম্পদের দিকে হাত বাড়ায়।

গ্রাফাইট, টাইটানিয়াম ও লিথিয়ামের মতো উচ্চমূল্যবান খনিজসম্পদের ওপর এখন মার্কিন কোম্পানিগুলোর মালিকানা প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। বিনিয়োগের নামে, ঋণের ফাঁদে ফেলে এসব সম্পদকে কার্যত নিজের করে নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

যুদ্ধের ভয়াবহ ফলাফল: ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতি

১. ইউক্রেনের চারটি প্রদেশ রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে, যা দেশের মোট ভূখণ্ডের এক-চতুর্থাংশ।
২. দেশের চার কোটির বেশি জনগণের প্রায় অর্ধেক উদ্বাস্তু হয়েছে।
৩. প্রধান শহর, শিল্প এলাকা, বন্দর ধ্বংস হয়েছে।
৪. বিশাল আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি দেশটি এখন ঋণের জালে আটকে গেছে।
৫. প্রায় ৭০-৮০ হাজার সৈন্য নিহত এবং দুই লক্ষর বেশি আহত ও পঙ্গু।

উপসংহার

আজ ইউক্রেনের অবস্থা এমন দাঁড়িয়েছে যে, তাদের মাটির উপর যা ছিল তা যুদ্ধের আগুনে পুড়ে গেছে, আর মাটির নিচের যে সম্পদ ছিল তাও ঋণের ফাঁদে মার্কিনীদের হাতে চলে গেছে। এই যুদ্ধ আসলে কার লাভের জন্য — ইউক্রেনের, না আমেরিকার?


সূত্র:

✅ নিউজটি ভালো লাগলে শেয়ার করুন।
📲 আরও এমন খবর পেতে চোখ রাখুন:
 https://news.mahbubosmane.com

সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন! 

মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্‌!

✅ ১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং
✅ ৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
✅ প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

📩 আজই যোগাযোগ (  wa.me/+966549485900 or  wa.me/+8801716988953 ) করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com

Exit mobile version