প্রতিবেদক: মোহাম্মদ আল আমিন
অনলাইন ডেস্ক | 📅 প্রকাশিত: ৮ মে ২০২৫
বর্তমান সময়ে হৃদরোগ বা হার্ট ডিজিজ বিশ্বব্যাপী মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ হয়ে উঠেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, হার্ট ডিজিজের পেছনে সবচেয়ে বড় ও অব্যক্ত একটি কারণ হলো ক্রনিক স্ট্রেস—যে চাপ প্রতিনিয়ত আমাদের শরীর ও মনের ওপর এক অদৃশ্য বোঝা ফেলে রাখে।
কিন্তু প্রশ্ন হলো, কেন আমরা এত বেশি স্ট্রেসে ভুগি? এই প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে দেখা গেছে, আধুনিক জীবনের পাঁচটি বড় পরিবর্তন আমাদের শরীরে ক্রমাগত স্ট্রেসের মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। নিচে এই পাঁচটি কারণ তুলে ধরা হলো:
১. পরিবেশের গুণাগুণের অবনতি
আমাদের চারপাশের বাতাস, পানি ও মাটি আগের মতো বিশুদ্ধ নয়।
- বাতাসে বিশুদ্ধ অক্সিজেনের অভাব
- পানিতে প্রয়োজনীয় ট্রেস মিনারেলের ঘাটতি
- মাটিতে উপকারী ব্যাকটেরিয়া ও নিউট্রিয়েন্ট কমে যাওয়া
এই তিনটি উপাদানই আমাদের শরীরে হেভি মেটাল জমিয়ে দেয়, যা কোষে বিষক্রিয়া তৈরি করে।
২. অতিমাত্রায় তথ্যপ্রবাহ ও ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক এক্সপোজার
স্মার্টফোন, ইন্টারনেট ও বিভিন্ন ডিজিটাল ডিভাইস আমাদের মস্তিষ্ককে অবিরাম তথ্যপ্রবাহের মধ্যে রাখছে।
ফলাফল:
- মস্তিষ্কে অতিরিক্ত উত্তেজনা
- স্বাভাবিক তাপমাত্রা ব্যাহত
- ঘুম ও বিশ্রামে বিঘ্ন
এই ওভারলোড মস্তিষ্ককে অবিরাম স্ট্রেসে রাখে।
৩. অতিরিক্ত কর্মঘণ্টা
মানুষ তার ইতিহাসের ৯৫% সময় দিনে গড়ে ৫ ঘণ্টারও কম কাজ করেছে। এখন:
- গড়ে ১০ ঘণ্টা বা তার বেশি কাজ
- শরীরের কোষগুলো অবিরাম ক্লান্তি অনুভব করে
এই শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিই স্ট্রেস বাড়ায়।
৪. সার্কাডিয়ান রিদমের ব্যাঘাত
সঠিক ঘুম, আলো-অন্ধকারের ব্যালান্স এবং দিনের রোদ পাওয়া আমাদের প্রাকৃতিক জীবনচক্রের (circadian rhythm) অংশ। কিন্তু:
- রাতে লাইট ও নয়েজ পলিউশন
- দিনে সূর্যের আলো না পাওয়া
এইসব মিলিয়ে শরীর সবসময়ই এক ধরনের “ইমার্জেন্সি মোডে” থাকে, যা স্ট্রেস হরমোন বাড়িয়ে তোলে।
৫. মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টের ঘাটতি
শরীরের স্ট্রেস মোকাবিলার জন্য প্রয়োজন:
- অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট
- ফ্রি র্যাডিক্যাল স্ক্যাভেঞ্জার
কিন্তু আমাদের খাদ্যে এসব উপাদানের পরিমাণ অনেক কম, ফলে শরীর সহজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
ক্রনিক স্ট্রেস কীভাবে হার্টের ক্ষতি করে?
এই দীর্ঘস্থায়ী স্ট্রেসের ফলে শরীরে কর্টিসোল, অ্যাড্রেনালিন, ইনসুলিন ও গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায়। ফলাফল:
- হৃদপিণ্ডে অক্সিডেটিভ স্ট্রেস
- অক্সিজেন ঘাটতি (হাইপোক্সিয়া)
- ল্যাকটেট ওভারলোড
এর মানে, আমাদের হার্ট মাসল সবসময়ই অক্সিজেনের অভাবে থেকে ধীরে ধীরে নিঃশেষ হতে থাকে। ফলস্বরূপ, হৃদরোগের ঝুঁকি ভয়াবহভাবে বেড়ে যায়।
কীভাবে স্ট্রেস কমিয়ে হার্টকে সুস্থ রাখা যায়?
বিশেষজ্ঞদের মতে, স্ট্রেস পুরোপুরি এড়ানো সম্ভব না হলেও এটিকে ম্যানেজ করা সম্ভব। এজন্য কয়েকটি কার্যকর অভ্যাস আমাদের শরীর ও মনের স্ট্রেস প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে:
✅ ১. দিনে ১০০০ মি.গ্রা. ভিটামিন সি
বিশুদ্ধ ফর্মে ভিটামিন সি যেমন সোডিয়াম/ম্যাগনেসিয়াম অ্যাসকরবেট স্ট্রেস হরমোন কমাতে সহায়ক। চিনিযুক্ত ভিটামিন সি এড়িয়ে চলাই ভালো।
✅ ২. নিয়মিত নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের অনুশীলন
গভীর শ্বাস গ্রহণ ও ধীরে ধীরে ছাড়ার চর্চা মস্তিষ্কে অক্সিজেনের সরবরাহ বাড়ায় এবং নার্ভ সিস্টেমকে শান্ত রাখে।
✅ ৩. সপ্তাহে অন্তত ২-৩ দিন ১০ কিলোমিটার হাঁটা
ওয়াকিং শুধু শরীরের নয়, মনকেও রিল্যাক্স করে। এটি হার্টের কার্যক্ষমতা বাড়ায় ও স্ট্রেস কমায়।
উপসংহার:
স্ট্রেস আমাদের জীবনের অংশ, কিন্তু এটিকে নিয়ন্ত্রণে আনাই আসল কৌশল। আমরা যদি পরিবেশ, শরীর ও মনের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারি, তবে হার্ট ডিজিজের ঝুঁকি অনেকটাই কমানো সম্ভব। আজ থেকেই ছোট ছোট পরিবর্তন আনার চেষ্টা করুন—জীবন বদলাতে সময় লাগবে না।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.