বাংলাদেশের সামনে আবারও ভয়াবহ বন্যার আশঙ্কা: ভারতের আচরণে উদ্বেগ

📅 তারিখ: ২০ মে, ২০২৫
✍️ নিউজ ডেস্ক | news.mahbubosmane.com
বাংলাদেশ আবারও ভয়াবহ বন্যার হুমকির মুখে পড়ছে। ইতোমধ্যেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে টানা ভারী বর্ষণের পাশাপাশি প্রতিবেশী ভারতের মেঘালয় ও আসামে অস্বাভাবিক বৃষ্টিপাত পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলেছে। বিশেষ করে সীমান্তবর্তী জেলা শেরপুরে নদীর পানি বিপদসীমা অতিক্রম করতে শুরু করেছে, যা বন্যার পূর্বাভাস হিসেবে বিবেচিত হচ্ছে।
ভারতের আচরণে প্রশ্ন
গত বছর ফেনী ও কুমিল্লায় যে ভয়াবহ বন্যা দেখা গিয়েছিল, তার অন্যতম প্রধান কারণ ছিল ভারতের ত্রিপুরা ও আসাম অঞ্চলের অতিবৃষ্টি ও গজলডোবা বাঁধ থেকে হঠাৎ পানি ছেড়ে দেওয়া। অথচ বিগত ২০ বছরেও এমন আচরণ খুব কম দেখা গেছে। বিশেষজ্ঞদের মতে, এটি ছিল রাজনৈতিক বা কূটনৈতিক প্রেক্ষাপটের প্রভাব—যা ‘দাদাদের’ একতরফা আচরণকেই স্পষ্ট করে।
তিস্তা বাঁধ: উত্তরাঞ্চলের জন্য এক আতঙ্কের নাম
উত্তরবঙ্গের বাসিন্দাদের জন্য তিস্তা নদীর পানি ছেড়ে দেওয়া এখন একটি বার্ষিক আতঙ্ক হয়ে দাঁড়িয়েছে। ভারত বর্ষা মৌসুমে অতিরিক্ত পানি বাংলাদেশে ছেড়ে দেয়, যার ফলে রংপুর, লালমনিরহাট, কুড়িগ্রাম, দিনাজপুরসহ উত্তরাঞ্চলের বিশাল এলাকা প্লাবিত হয়। এতে শুধু ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয় না, হাজারো মানুষ বাস্তুহারা হয় এবং প্রাণহানির ঘটনাও ঘটে।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
রাজনীতি ও কূটনীতির উত্তেজনা: আশঙ্কার মূল কারণ
২০২৪ সালের শেষ দিকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বড় ধরনের পরিবর্তনের পর ভারতের আচরণে একটি ভিন্নতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। সেই সময় গজলডোবা বাঁধ থেকে আকস্মিক পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল, যা আগে কখনও হয়নি। ২০২৫ সালেও বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে কূটনৈতিক টানাপোড়েন রয়েছে, ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে যে ভারত আবারও সুযোগ বুঝে পানি ছেড়ে দিয়ে ভয়াবহ পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
করণীয়: টেকসই বাঁধ ও কূটনৈতিক চাপ
বর্তমানে আমাদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো বন্যা প্রতিরোধে প্রস্তুতি নেওয়া। বিশেষ করে—
✅ বড় বাঁধ নির্মাণ যেখানে প্রয়োজন সেখানে জরুরি ভিত্তিতে বাস্তবায়ন।
✅ নদী ও খাল খননের মাধ্যমে পানির স্বাভাবিক গতিপথ তৈরি রাখা।
✅ ভারতের ওপর কূটনৈতিক চাপ সৃষ্টি করে আন্তর্জাতিক পানি ব্যবস্থাপনা আইন মেনে চলার বাধ্যবাধকতা আরোপ।
✅ একটি দীর্ঘমেয়াদী নদী ব্যবস্থাপনা ও বাঁধ নির্মাণ মহাপরিকল্পনা গ্রহণ।
উপসংহার
বাংলাদেশের মতো একটি নিম্নভূমি ও বৃষ্টিনির্ভর দেশে প্রতিবছর বন্যা নতুন কিছু নয়। কিন্তু প্রতিবেশী দেশের অব্যবস্থাপনা এবং রাজনৈতিক প্রভাবের কারণে যদি এই দুর্যোগ মনুষ্যসৃষ্ট হয়, তবে সেটি আর শুধু প্রাকৃতিক বিপর্যয় নয় — এটি এক ধরনের কূটনৈতিক আগ্রাসন। তাই এখনই সময়, আমরা যেন রাষ্ট্রীয় ও ব্যক্তি পর্যায়ে সচেতন হই এবং যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করি।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.