“সান্ডা বিরিয়ানি” ক্যাম্পেইন: ভাইরাল হতে গিয়ে ব্র্যান্ড ভ্যালু হারানোর পাঠ!

লিখেছেন: তন্ময় সরকার উজ্জ্বল | তারিখ: ১৮ মে ২০২৫
সম্প্রতি দেশের জনপ্রিয় একটি রেস্টুরেন্ট চেইন Roadside ফেসবুকে একটি পোস্ট করে ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দেয়। পোস্টটিতে একটি বিশাল আকৃতির গুইসাপ বা সান্ডার ছবি দিয়ে বলা হয়:
“৫ হাজার রিয়্যাক্ট হলে রোডসাইডে ইন্ট্রোডিউস করবো ‘সান্ডা বিরিয়ানি’!”
এই পোস্ট মুহূর্তেই সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়ে যায়। কেউ এটিকে নিছক মজা হিসেবে নিয়েছেন, কেউবা ক্ষোভে ফেটে পড়েছেন। কমেন্ট সেকশনে দেখা গেছে কেউ লিখছেন “tasty!”, আবার কেউ সরাসরি গালাগাল করছেন। কিন্তু প্রশ্ন উঠে এসেছে—এই ধরনের কন্টেন্ট কি আসলে একটি ফুড ব্র্যান্ডের ব্র্যান্ডিং স্ট্রাটেজির অংশ হওয়া উচিত?
ভাইরাল মানেই ভ্যালু না
আজকের দিনে ভাইরাল হওয়া খুব কঠিন কিছু নয়। একটা ক্যাচি ক্যাপশন, একটু বিতর্ক বা ট্রেন্ডি মিমেই লাখো রিচ পাওয়া যায়। তবে ভাইরাল কনটেন্ট যদি ব্র্যান্ডের প্রতি আগ্রহ না বাড়ায়, তাহলে সেটি কি সত্যিকারের ব্র্যান্ড বিল্ডিং?
এই ঘটনার পর অনেকেই প্রশ্ন তুলছেন—Roadside কি শুধুমাত্র একটি ভাইরাল পোস্ট করেছে, না তারা একটি ব্র্যান্ড হিসেবে মানুষের মনে ভরসা তৈরি করতে চেয়েছে?
Tone-deaf Humor: যেখানে হাসির চেয়ে ক্ষোভ বেশি
খাবার নিয়ে মানুষের আবেগ জড়িত। পরিবার নিয়ে খাওয়া, বন্ধুর সঙ্গে আড্ডা, প্রিয়জনকে খাওয়ানোর মুহূর্ত—এসবই রেস্টুরেন্ট অভিজ্ঞতার অংশ। সেক্ষেত্রে একটি খাদ্যপ্রস্তুত প্রতিষ্ঠান যখন গুইসাপের মতো একটি বিব্রতকর প্রাণীকে খাবারের সাথে তুলনা করে, তখন সেটি অনেকের চোখে রুচিহীন এবং অস্বস্তিকর মনে হতে পারে।
একজন মার্কেটিং এক্সপার্ট বলেন, “এটা হচ্ছে Tone-deaf Humor। যারা বুঝবে না, তাদের জন্য এটা শুধু নেগেটিভ ইমোশন তৈরি করবে।”
নেগেটিভ ইমোশন মানেই লং-টার্ম ড্যামেজ
বিখ্যাত মার্কেটিং থিঙ্কার Jonah Berger তার বই Contagious-এ বলেন,
“Disgust and confusion don’t make people loyal. They just make them look and leave.”
অর্থাৎ, বিভ্রান্তি বা বিরক্তি এনে কেউ ব্র্যান্ডে অনুগত হয় না। এমন কনটেন্ট হয়তো মানুষ একবার দেখে, শেয়ার করে, আবার ভুলে যায়। কিন্তু মনে রাখে—“ওই তো, টিকটিকি-রেস্টুরেন্ট!”—এটা কি আসলে ব্র্যান্ড চায়?
উদাহরণ আছে হাতে গরম
এ ধরনের ভুল কনটেন্টের নজির রয়েছে আগেও:
- Burger King (2021): “Women belong in the kitchen”—একটি উইটি ক্যাম্পেইন চালাতে গিয়ে বিপুল সমালোচনার মুখে পড়ে।
- সুলতান’স ডাইন: এক সময় কুকুরের মাংস নিয়ে গুজব ছড়ায়। যদিও প্রমাণ হয় মিথ্যা, আজও অনেকে ভয় পান।
এগুলো প্রমাণ করে, ব্র্যান্ডের ভুল হিউমার একবার ছড়িয়ে পড়লে তার প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হতে পারে।
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
✅ 14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
✅ 800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
✅ Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! 🌍 Visit: MahbubOsmane.com
ট্রেন্ড না, ট্রাস্ট দরকার
Nike বা Apple-এর মতো ব্র্যান্ডগুলো মজা করে, তবে classy ফান করে।
Nike একবার George Floyd ইস্যুতে বলেছিল:
“For once, don’t do it.”
এই এক লাইন মেসেজে ছিল সোশ্যাল মেসেজ, জোক না।
রোডসাইডের জন্য পরামর্শ
Roadside যদি সত্যিকারের একটি ট্রাস্টেড ফুড ব্র্যান্ড হতে চায়, তাহলে এখনই দরকার রিসেট বাটনে চাপ দেওয়া। কন্টেন্ট ভাইরাল হওয়ার চেয়ে প্রোডাক্টের প্রতি মানুষের অনুভূতি তৈরি করা অনেক গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ দিনশেষে ব্র্যান্ড আপনি যা বলেন তা না—
ব্র্যান্ড হলো, মানুষ আপনার সম্পর্কে কী বলে। – Marty Neumeier
শেষ কথা
আজকে হয়তো “সান্ডা বিরিয়ানি” জোক ছিল।
কাল যদি মানুষ সিরিয়াসলি আপনার খাবার নিয়ে সন্দেহ করতে শুরু করে, তখন আপনি কী বলবেন?
ভাইরাল হতে চাইলে, অবশ্যই কনটেন্ট তৈরি করুন—
কিন্তু ভ্যালু দিতে ভুলবেন না।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.