Life

ছেলের সাথে বাবা মায়ের সম্পর্ক – জীবনের এক নির্মম সত্য!

অনেক সময় আমরা শুনে থাকি, “ছেলের বিয়ে হয়ে গেলে ছেলে আর নিজের থাকেনা, বউয়ের হয়ে যায়; কিন্তু মেয়ের বিয়ে হলেও মেয়ে কোনোদিন পর হয় না।”
প্রথমে শুনলে কথাটি মনে হতে পারে কেবল একটি আবেগঘন মন্তব্য, কিন্তু একটু গভীরে ভাবলে দেখা যায়, এর মধ্যে লুকিয়ে আছে আমাদের সমাজের এক বাস্তব এবং নির্মম সত্য।

মেয়ে আর ছেলে: চাওয়ার জায়গায় পার্থক্য

যখন সন্তান ছোট থাকে, তখন ছেলে-মেয়ে উভয়ের জন্যই বাবা-মায়েরা সমান পরিশ্রম করেন, সমান ভালোবাসা দেন। কিন্তু বড় হওয়ার পর, বিশেষ করে বিয়ের পরে, মনোভাবের পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায়।
মেয়ের জন্য বাবা-মায়ের ভালোবাসায় কোনো শর্ত থাকে না।
মেয়েকে কিছু দিলে তার প্রতিদানে কিছু আশা করেন না, কেবল তার সুখ-শান্তি দেখেই তৃপ্ত হন।
মেয়ে যদি নিজের পরিবারে সুখী থাকে, বাবা-মায়ের হৃদয় আনন্দে ভরে যায়।
মেয়ের সুখ-দুঃখ নিজের জীবনের সুখ-দুঃখের সঙ্গে মিলিয়ে অনুভব করেন বাবা-মা।
বিপদের সময় সামর্থ্যের বাইরে গিয়েও মেয়েকে এবং তার স্বামীকেও সাহায্য করেন।
কিন্তু ছেলের ক্ষেত্রে ব্যাপারটা অনেকটাই ভিন্ন হয়।

ছেলের প্রতি উচ্চ প্রত্যাশা এবং দায়িত্ব চাপানো

ছেলের পেছনে যত খরচ করা হয়, তার বিনিময়ে ভবিষ্যতে কিছু পাওয়ার প্রত্যাশা গড়ে ওঠে।
চাকরি বা ব্যবসা শুরু করানোর জন্য অর্থ দিলে, তা বারবার মনে করিয়ে দেওয়া হয় – “তোর জন্য এত করেছিলাম।”
ছেলের বিয়ে হয়ে গেলে অনেক বাবা-মা মনে মনে ভাবেন, এখন ছেলে নিজের জীবন সামলাক, তার সমস্যা তার নিজের।
সাহায্য করার হাত তখন অনেক সময় সরে যায়, অথচ মেয়ে-জামাইয়ের জন্য সেই হাত সবসময় প্রসারিত থাকে।
ছেলে-বউ সুখে থাকলে অনেক সময় তুলনা করে দেখা হয়: “ওরা আমাদের চেয়ে ভালো আছে”, আবার যদি ছেলের পরিবারে সমস্যা হয়, তখন বলা হয়, “তুই তোর সমস্যার জন্য নিজেই দায়ী।”

সম্মান ও ভালোবাসার ব্যবধান

মেয়ে ও তার স্বামীকে যেমন সম্মান, গুরুত্ব ও ভালোবাসা দেওয়া হয়, ছেলেবউকে একইভাবে দেওয়া হয় না।
ছেলের বউয়ের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যের দিকে সন্দেহের চোখে তাকানো হয়, অথচ মেয়ের সুখ-স্বাচ্ছন্দ্যকে নিজের সফলতা মনে করা হয়।
মেয়েকে খুশি করতে শতভাগ চেষ্টা চলে, কিন্তু ছেলের পরিবারে সামান্য ত্রুটি দেখলেই অভিযোগের পাহাড় তৈরি হয়।

কেন এই বৈষম্য?

এ বৈষম্যের মূল কারণ হলো প্রত্যাশা।
মেয়ের কাছ থেকে কিছু প্রত্যাশা না থাকায় সামান্য কিছু পেলেও সেটা বিশাল ভালোবাসা হিসেবে ধরা হয়।
অন্যদিকে ছেলের কাছ থেকে ১০০% দায়িত্ব আশা করা হয়, আর ৭০-৮০% পূরণ হলেও বাকি ২০-৩০% অপূর্ণতাকে বড় করে দেখা হয়।
ফলে ছেলে-বউয়ের সুখও অনেক সময় বাবা-মায়ের জন্য ঈর্ষার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়, ছেলের দুঃখকেও তারা একরকম “নিজের দায় নয়” বলে দূরে ঠেলে দেন।

উপসংহার

সমাজের এই মনোভাব শুধু পরিবারকে নয়, পুরো মানবিক সম্পর্ককেই প্রভাবিত করে।
পিতামাতার ভালোবাসা যদি ছেলে ও মেয়ের প্রতি সমানভাবে নিঃস্বার্থ হতো, প্রত্যাশাহীন হতো, তাহলে পরিবারগুলো আরও সুন্দর, সুখী ও সুস্থ হতো।
সন্তান তো সন্তানই – ছেলে হোক বা মেয়ে – প্রত্যাশার চেয়ে ভালোবাসাই হোক সবার জন্য মূল ভিত্তি।


✍️ লেখক:
https://news.mahbubosmane.com

সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন! 

মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্‌!

✅ ১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র‍্যাঙ্কিং
✅ ৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
✅ প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট

📩 আজই যোগাযোগ (  wa.me/+966549485900 or  wa.me/+8801716988953 ) করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com

Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?

Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.

MahbubOsmane.com’s Exclusive Services

Digital Marketing
SEO & SMM
Content Creation
Web Development
Google Ads & Meta Ads
Graphic Design
Affiliate Website
Brand Promotion
Marketing Plan & Consulting
Other Services
Our Courses
Domain Hosting

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button