লেখা: নিউজ ডেস্ক | news.mahbubosmane.com
📅 প্রকাশিত: ১৪ মে, ২০২৫
আমাদের চারপাশে এক ধরনের মানুষ ঘুরে বেড়ায়, যাদের আসল রূপ চেনা অসম্ভব নয়, তবে কঠিন। এরা দুমুখো, তবে ভয়ঙ্করভাবে প্রতিভাবান। এরা দেখতে আমাদের মতোই—হাতে ঘড়ি, গায়ে ব্র্যান্ডেড জামা, মুখে চেনা হাসি, কখনো রাজপথে হাঁটে, আবার কখনো ইনস্টাগ্রামে ক্যান্ডেললাইট পোস্ট দেয়। কিন্তু তাদের ভেতরের রূপটা অনেকটাই সাপের মতো—বিষাক্ত এবং ছলনাময়।
তাদের কেউ আপনার সঙ্গে চা খায়, গল্প করে, হাসে, এমনকি আপনার শিশুর ছবিতেও “খুব মিষ্টি” বলে মন্তব্য করে। অথচ ঠিক পরক্ষণেই অন্য কারও সঙ্গে বলে বসে—”ওর বাচ্চাটা কেমন যেন, অটিজম-ফটিজম কিছু একটা আছে মনে হয়!” এদের অস্তিত্ব গড়ে ওঠে প্রোপ্যাগান্ডার উপর ভর করে। ভদ্রতা আর কৌশলের এক অদ্ভুত মিশেলে তারা পরিণত হয় এক ধরনের অভিনীত বাস্তবতায়, যেখানে তারা আর অভিনয় করছে না—তারাই হয়ে গেছে সেই নাটকের চরিত্র।
এই রকম মানুষদের সবচেয়ে বিপজ্জনক দিক হলো—তাদের বিশ্বাসযোগ্যতা। আপনি বুঝতেই পারবেন না কখন তারা আপনার কথার ভেতর বিষ ঢুকিয়ে দিলো, কখন আপনার গোপন কথোপকথন স্ক্রিনশটে পরিণত হলো এবং ছড়িয়ে গেল ‘বিশ্বস্ত’ বন্ধুদের মাঝে।
এই বাস্তবতা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়—এটা একটা প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামো। যেখানে সহানুভূতির নামে চলে ইমোশনাল ব্র্যান্ডিং, দুঃখকে ব্যবহার করা হয় মনোযোগ কাড়ার টুল হিসেবে, আর কারও সাফল্যের পাশে দাঁড়ানো হয় নিজের অবস্থান নিশ্চিত করতে। আর কেউ ব্যর্থ হলে, প্রকাশ্যে ঘোষণা দেওয়া হয়—”আমরা পাশে ছিলাম, ও নিজেই পিছিয়ে পড়েছে।”
Increase Your Business with Expert Digital Solutions!
Get Unlimited Facebook Ad Credit, Guaranteed SEO Rankings, & Professional Web Development – all under one roof at MahbubOsmane.com!
14+ Years of Experience – Guaranteed SEO Rankings
800+ Satisfied Clients – Unlimited Facebook Ad Credit
Proven Results, Maximum ROI – Professional Web Development
Contact us ( +8801716988953 WhatsApp ) today and take your business to the next level! Visit: MahbubOsmane.com
এই সমাজে সহানুভূতিও এক প্রিমিয়াম পণ্য। সময় বুঝে তা ব্যবহৃত হয়, বিক্রি হয়, আর প্রয়োজন ফুরালে ‘আনফ্রেন্ড’ করে দেওয়া হয়। আপনি যদি কাঁদেন, টাইপ হবে—“Stay strong. We got your back.” তারপরেই চলে স্ক্রিনশট চালাচালি: “Drama incoming. Grab popcorn.”
এই সমাজে যে সত্য বলবে, সে হবে ‘harsh’। যে ন্যায়ের কথা বলবে, সে হবে ‘troublemaker’। যে নিজেকে এই বিষাক্ত পরিবেশ থেকে দূরে সরিয়ে রাখবে, সে হয়ে যাবে ‘cold’, ‘unreachable’, কিংবা ‘selfish’। সমাজ এইভাবেই আপনাকে প্রথমে আশ্বাস দেবে—”তুমি পারবে”, তারপরেই বলবে—”ওর অ্যাটিটিউড প্রবলেম আছে।”
অতএব, নিজের পরিসর ছোট করা এখন সময়ের দাবি। সবাইকে মনের দরজা খুলে দেওয়া উচিত নয়। কাকে ঘরে ডাকবেন, কাকে চায়ের নিমন্ত্রণ দেবেন, কাকে মনের কথা বলবেন—তা বেছে নেওয়া খুব জরুরি। কারণ যারা আপনার হাঁড়ির খবর জানে, তারাই জানে কোন ফুটো দিয়ে সেই খবরকে দুর্গন্ধে রূপান্তরিত করতে হয়।
এই সমাজে বাঁচতে হলে একটাই উপায়—সতর্ক থাকা, নিজের আবেগকে সুরক্ষিত রাখা, এবং সত্য বলার শক্তি লালন করা। যাহোক, পলিটিক্যালি ‘ইন’ কো-রেক্ট কতা বাত্তা কয়ে ফেল্লুম। কেস খাইলে খাই।
সংযোজন:
এই লেখাটি সমাজের বাস্তব এক প্রতিচ্ছবি তুলে ধরে, যা পাঠকের ভাবনার খোরাক জোগাবে। প্রয়োজনে সম্পাদকীয় বিভাগে প্রকাশ করা যেতে পারে।
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.
