স্ত্রীর ধর্ষণ মামলায় ২২ দিন কারাবাসের পর স্বামীর লড়াই: অপব্যবহারের শিকার হচ্ছে কী নতুন আইন?

রিপোর্টার: নিউজ ডেস্ক | প্রকাশিত: ২২ এপ্রিল ২০২৫
সম্প্রতি এক চাঞ্চল্যকর ঘটনার জন্ম দিয়েছেন এক দম্পতি। স্ত্রীর দায়ের করা ধর্ষণের মামলায় এক ব্যক্তি ২২ দিন জেল খাটার পর মুক্তি পেয়েছেন। অভিযোগ, স্ত্রী নিজেই স্বামীকে ধর্ষণের অভিযোগে ফাঁসিয়েছিলেন এবং মেডিক্যাল পরীক্ষাও করিয়েছিলেন। অথচ, এখন তারা আবার একসাথে সংসার করছেন।
ঘটনার ধারাবাহিকতায়, এক সাংবাদিক ওই নারীকে প্রশ্ন করেন, “আপনি স্বামীকে জেল খাটালেন, আবার সংসারও করছেন — ব্যাপারটা কেমন না?” উত্তরে স্ত্রী জানান, তিনি এখন মামলাটি প্রত্যাহার করে নিতে চান।
অপরদিকে, স্বামী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, তিনি মামলা তুলে নিতে চান না। তার ভাষায়, “আমি চাই না সে মামলা তুলে নিক। আমি আদালতে লড়াই করে নির্দোষ প্রমাণিত হতে চাই। কারণ, এই মামলা আমার মান-সম্মান সব শেষ করে দিয়েছে। আমার নিজের ফ্ল্যাটে বাস করা এবং কর্মক্ষেত্রেও মুখ দেখানোর মত পরিস্থিতি আর নেই।”
তিনি আরও দাবি করেন, স্ত্রীর পরিবার ও স্থানীয় কিছু পুলিশ সদস্যসহ একাধিক পক্ষের ষড়যন্ত্রে তিনি এই পরিস্থিতিতে পড়েছেন।
এদিকে, নতুন আইন সংশোধনের খসড়া আলোচনায় রয়েছে, যেখানে বলা হচ্ছে, স্ত্রীর সাথে জোরপূর্বক যৌন সম্পর্ককেও “যৌন নির্যাতন” হিসেবে গণ্য করা হবে। এমন আইনের আওতায় অপরাধ প্রমাণিত হলে বিচার এবং শাস্তির ব্যবস্থা রাখা হবে।
তবে উদ্বেগের বিষয় হলো, নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহারের অভিযোগ দীর্ঘদিনের। ২০১৮ সালে বিবিসির এক প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল, বাংলাদেশে নারী নির্যাতনের প্রচুর মিথ্যা মামলার অভিযোগ রয়েছে।
বাংলাদেশ পুলিশের মুখপাত্র সহকারী মহাপরিদর্শক (এআইজি) সহেলী ফেরদৌস তখন বলেছিলেন, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের মামলায় জামিন পাওয়া কঠিন হওয়ার কারণে অনেকেই ব্যক্তিগত শত্রুতা মেটাতে এসব আইনের অপব্যবহার করছেন। তার ভাষায়, “নারী নির্যাতনের মামলার আশি শতাংশেরই কোন সঠিক প্রমাণ পাওয়া যায় না।”
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, নতুন আইন প্রণয়নের সময় পুরুষদের নিরাপত্তাকেও গুরুত্ব দেওয়া উচিত। কারণ, নারী ও পুরুষ উভয় পক্ষের ন্যায্য অধিকার নিশ্চিত করাই একটি সুস্থ ও মানবিক সমাজ গঠনের পূর্বশর্ত।
সর্বোপরি, বিচার বিভাগীয় প্রক্রিয়া যেন নিরপেক্ষ, সুবিচারভিত্তিক এবং তথ্যভিত্তিক হয় — এটাই প্রত্যাশা। নারী হোক বা পুরুষ — কারও প্রতি যেন অবিচার না হয়, সেই দায়িত্ব আমাদের সকলের।
Related Articles:
🔹 বাংলাদেশের নতুন যৌন নির্যাতন আইন: কী কী পরিবর্তন আসছে?
🔹 নারী নির্যাতন আইনের অপব্যবহার: বাস্তব চিত্র ও পরিসংখ্যান
🔹 বিবাহিত জীবনে সম্মতি ও অধিকার: ইসলামিক ও আইনি দৃষ্টিভঙ্গি
🔹 মিথ্যা মামলা প্রতিরোধে কী করণীয়?
🔹 বাংলাদেশে পুরুষদের মানবাধিকার: একটি পর্যালোচনা
🔹 পুলিশ কীভাবে নারী নির্যাতন মামলার তদন্ত করে?
🔹 সংসারে কলহ থেকে মামলায়: সতর্ক থাকার ৭টি উপায়
🔹 আদালতে নির্দোষ প্রমাণ: কীভাবে নিজেকে প্রস্তুত করবেন?
🔹 নারী-পুরুষ উভয়ের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ
🔹 বাংলাদেশে মিথ্যা মামলা ও সামাজিক অবক্ষয়: বিশ্লেষণ
#নারীনির্যাতন, #পুরুষঅধিকার, #বিবাহিতজীবন, #বাংলাদেশআইন, #মিথ্যামামলা
সঠিক মার্কেটিং এর মাধ্যমে আপনার বিজনেসের সফলতা নিশ্চিত করুন!
মাহবুবওসমানী.কম দিচ্ছে আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট, গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং, এবং প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট – সবকিছু একসাথে, ইংশাআল্লাহ্!
✅ ১৪+ বছরের অভিজ্ঞতা – গ্যারান্টেড SEO র্যাঙ্কিং
✅ ৮০০+ সন্তুষ্ট ক্লায়েন্ট – আনলিমিটেড ফেসবুক অ্যাড ক্রেডিট
✅ প্রমাণিত ফলাফল, সর্বোচ্চ ROI – প্রফেশনাল ওয়েব ডেভেলপমেন্ট
📩 আজই যোগাযোগ ( wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 ) করুন এবং আপনার ব্যবসার সম্ভাবনাকে বাস্তবে রূপ দিন!
🌍 ভিজিট করুন: MahbubOsmane.com
Do you still have questions? Or would you like us to give you a call?
Call us at wa.me/+966549485900 or wa.me/+8801716988953 to get a free consultancy from our expert or you can directly email us at hi@mahbubosmane.com We would be happy to answer you.



